1. jobtv454@gmail.com : বাংলাদেশ বার্তা : বাংলাদেশ বার্তা
  2. info@www.bangladeshbarta.online : বাংলাদেশ বার্তা :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন নরসিংদীর গর্ব বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুদক এতিম হিফজ শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন কোরআন তুলে দিল দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন একজন শফিকুল, এক ফোঁটা তেল, আর লক্ষ মানুষের হাসি ব্যাপক সংস্কারের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে একটি নতুন বাংলাদেশ নুরুল আবছার চৌধুরীর ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত মহানগরে সড়ক নামকরণের জোর দাবি। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের শোক বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় ইলিয়াস কাঞ্চনের শোক প্রকাশ: দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জেপিবি’র আত্মপ্রকাশ

মরণফাঁদে জীবনরক্ষাকারী: জলদস্যুদের কবলে ক্যাপ্টেন রশিদের দুর্ধর্ষ নেতৃত্ব

বিশেষ প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

৩৩ দিনের বন্দিদশা, প্রতিদিন মৃত্যুর মুখোমুখি—কিন্তু ক্যাপ্টেন আব্দুর রশিদের স্থিরতা ও সাহসিক নেতৃত্বই ফিরিয়ে আনল ২৩ নাবিকের জীবনের আলো।

২০২৪ সালের ১২ মার্চ, বাংলাদেশের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের পথে যাত্রা করছিল। জাহাজটি ৫৫,০০০ টন কয়লা নিয়ে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ছিল, ঠিক তখনই সোমালিয়ার উপকূল থেকে মাত্র ৭২ নটিক্যাল মাইল দূরে আক্রমণ করে বসে সশস্ত্র জলদস্যুরা। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি ঘোরতর হয়ে ওঠে—জাহাজের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় জলদস্যুদের হাতে, এবং ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আব্দুর রশিদসহ ২৩ জন নাবিক জিম্মি হয়ে পড়েন।

 

জিম্মি থাকার পুরো ৩৩ দিন ছিল আতঙ্ক, চাপ এবং অনিশ্চয়তার এক কঠিন পরীক্ষা। প্রতিদিন ছিল নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন হুমকি। জলদস্যুরা প্রথমদিকে বন্দুকের মুখে সবাইকে কনটেইনার ডেকে শুইয়ে রাখে। সেখানে কোনো শৌচাগার ছিল না, খাবার ও পানির ছিল চরম সংকট।

 

ক্যাপ্টেন রশিদ পরবর্তীতে বলেন,

“জলদস্যুরা আমাদের মাথার ওপর বন্দুক ঠেকিয়ে বলত, ‘মরে যেতে চাও?’—সেই সময়ও আমি শুধু ভেবেছি, কীভাবে আমার নাবিকদের মনোবল ধরে রাখা যায়।”

 

 

 

তিনি তার ঠাণ্ডা মাথা ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ধীরে ধীরে জলদস্যুদের বিশ্বাস অর্জন করেন। প্রথম কয়েকদিনে জল ও খাবার বণ্টনের দায়িত্ব নিজে নিয়ে জাহাজের সবাইকে পর্যাপ্ত রেশনিং করেন। কৌশলে জলদস্যুদের বোঝান যে, যদি নাবিকরা অসুস্থ হয়ে পড়ে তবে জাহাজ চালানোই সম্ভব হবে না। এই যুক্তি কাজে দেয়।

 

পরবর্তী দিনগুলোতে তিনি জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নাবিকদের কেবিনে ফিরে যাওয়ার অনুমতি আদায় করেন। ধীরে ধীরে কিছু মানবিক সুযোগ-সুবিধা আদায় সম্ভব হয়। প্রতিটি সিদ্ধান্তে ক্যাপ্টেন রশিদের ঠান্ডা মাথা ও সাহসিকতা ছিল স্পষ্ট।

 

“আমার একটাই লক্ষ্য ছিল—প্রত্যেক নাবিককে জীবিত ও নিরাপদে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া,” বলেন তিনি।

 

৩৩ দিন পর, ১৪ এপ্রিল, পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মুক্তিপণের বিনিময়ে জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দেয়। এমভি আবদুল্লাহ এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরে পৌঁছায় এবং পরবর্তীতে সবাই নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

 

ক্যাপ্টেন রশিদের সাহসিকতা, নেতৃত্ব এবং মানবিকতা শুধু তার সহকর্মীদের জীবন রক্ষা করেনি, বরং পুরো জাতিকে গর্বিত করেছে। ভবিষ্যতের নাবিকদের কাছে তার এই অভিজ্ঞতা এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা।

 

ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ—নামটি এখন শুধুই একজন জাহাজ মাস্টারের পরিচয় নয়, বরং এক সাহসী নেতৃত্বের প্রতীক, যিনি জীবনের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও নিজের কাঁধে ২৩টি প্রাণ নিয়ে ফিরেছেন দেশের মাটিতে।

 

বিডিবার্তা/রাহাঅ

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট