বিএনপির ঘাঁটি পুনর্গঠনে রাজবাড়ী-২-এ ব্যারিস্টার মানিকের দৃঢ় আগমন।দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এবার সংসদে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে রাজনীতির এক নিবেদিত যোদ্ধা।
রাজবাড়ী-২ (বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর পক্ষে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন ব্যারিস্টার কাজী রহমান মানিক। আইন ও রাজনীতির অঙ্গনে দীর্ঘ সময় কাজ করা এই ব্যক্তিত্ব রাজনৈতিকভাবে পরিচিত এক সাহসী ও মানবিক কণ্ঠস্বর হিসেবে। বিগত সময়ে রাষ্ট্রক্ষমতাসীন মহলের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তিনি ১১টি মিথ্যা রাজনৈতিক মামলার আসামি হন—তবুও দমে যাননি।
ব্যারিস্টার মানিকের শিক্ষাজীবন শুরু হয় রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার পল্লী অঞ্চলে। ১৯৮৬ সালে বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৮৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএল.বি (অনার্স), ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন থেকে দ্বিতীয়বার এলএল.বি এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, ঢাকা থেকে এলএল.এম ডিগ্রি অর্জন করেন।
আইন পেশায় সফলতার পর তিনি ব্রিটেনের লিংকন্স ইন থেকে বার ট্রান্সফার টেস্ট (BTT) পাশ করে ব্যারিস্টার হন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী, যিনি বিশেষ করে মানবাধিকার ও রাজনৈতিক হয়রানির শিকার মানুষদের পক্ষে আইনি লড়াই করে থাকেন।
ব্যারিস্টার মানিক শুধু পেশাদার আইনজীবী নন, বরং তিনি একজন আদর্শবাদী রাজনৈতিক কর্মী। বিএনপির প্রতি তার অগাধ আস্থা ও নিষ্ঠা তাকে দলটির দুর্দিনেও সাহসের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির রাজবন্দিদের পক্ষে নিঃস্বার্থ আইনি সহায়তা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার একটি প্রতীক। আমি সেই লড়াইয়ে জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।”
তাঁর নেতৃত্বে রাজবাড়ী-২ আসনে দলের তৃণমূল সংগঠনের পুনর্গঠন, তরুণদের সম্পৃক্ততা এবং সামাজিক সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচির একজন সক্রিয় প্রচারক।
বিগত ১০ বছর ধরে তিনি ১১টি মিথ্যা রাজনৈতিক মামলার আসামি হন, যার কোনোটিই তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়নি। এসব মামলা ছিল তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে দমন করার একটি কৌশলমাত্র। কিন্তু তিনি প্রতিটি মামলায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেন এবং বলেছেন, “প্রতিটি মিথ্যা মামলাই আমাকে আরও বেশি মানবিক ও রাজনৈতিকভাবে দৃঢ় করেছে।”
জনতার আশা: একজন ‘ক্লিন প্রার্থী’
রাজবাড়ীর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যারিস্টার মানিককে “পরিচ্ছন্ন, শিক্ষিত ও সচেতন” প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন, এবং সাধারণ মানুষের জন্য সবসময় সহজপ্রাপ্য ছিলেন। গ্রামের কৃষক থেকে শুরু করে শহরের আইনজীবী, নারী থেকে শুরু করে যুবক সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে তার রয়েছে সুসম্পর্ক।
বালিয়াকান্দির এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, “মানিক সাহেব শুধু নেতা না, উনি আশার প্রতীক। উনি এমপি হলে আমরা বিশ্বাস করি আমাদের কথা সংসদে পৌঁছাবে।”
ব্যারিস্টার কাজী রহমান মানিকের সংসদ সদস্য পদে প্রার্থিতা শুধু একটি রাজনৈতিক ঘোষণাই নয়—এটি রাজবাড়ী অঞ্চলের জনগণের অধিকার আদায়ের একটি সম্ভাবনা। তার শিক্ষা, পেশাদারিত্ব, রাজনৈতিক দৃঢ়তা এবং মানবিক মূল্যবোধ যদি সমন্বিতভাবে কাজ করে, তবে রাজবাড়ী-২ পেতে পারে একজন সত্যিকারের জন-প্রতিনিধি।
বিডিবার্তা/রাহাঅ