বাংলাদেশ আজ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়ে এই দেশ নানা সংকটের ভেতর দিয়ে এগিয়ে গেছে উন্নয়নের পথে। দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রগতি, অবকাঠামো উন্নয়ন—সবই একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশের ইঙ্গিত দেয়। তবে এই অগ্রযাত্রার মাঝেও রয়ে গেছে কিছু বড় চ্যালেঞ্জ, যা নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে আমাদের।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার চোখে পড়ার মতো হলেও বৈষম্য এখনো এক বাস্তবতা। শহর ও গ্রামের ব্যবধান, কর্মসংস্থানের সীমাবদ্ধতা, ও তরুণ জনগোষ্ঠীর যথাযথ বিকাশ—এসব ইস্যু এখন রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া দরকার। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের চর্চা, বাকস্বাধীনতা এবং আইনের শাসন—এই মৌলিক স্তম্ভগুলোর ওপর আরও জোর দিতে হবে।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং প্রযুক্তিগত বিপ্লবের যুগে প্রবেশ—এসবই বাংলাদেশের জন্য একদিকে চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম এখন শুধু দেশের মধ্যেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিভার সাক্ষর রেখে চলেছে। তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহায়তা দেওয়া গেলে বাংলাদেশ আরও দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে পারবে বিশ্ব মঞ্চে।
“বাংলাদেশ বার্তা” বিশ্বাস করে, একটি ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের পথে অগ্রসর হওয়াই সময়ের দাবি। এই যাত্রায় সরকার, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম ও সাধারণ জনগণের সমন্বিত উদ্যোগই পারে একটি সত্যিকার অর্থে প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।
বিডিবার্তা/সম্পাদক