বিশ্বব্যাপী সাংবাদিক, সংসদ সদস্য ও গবেষকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় আলোচনায় উঠে আসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দায়িত্বশীল ব্যবহার, সাংস্কৃতিক সহনশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের নৈতিক দায়বদ্ধতা
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা HWPL (Heavenly Culture, World Peace, Restoration of Light) সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর্মশালার আয়োজন করেছে। "Peace Journalism in the Digital Age" শিরোনামের এই ভার্চুয়াল কর্মশালায় ৫০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২০০ জন সাংবাদিক, গবেষক ও শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য ছিল: “সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সংঘাতের রূপান্তর।” এতে আলোচনা হয় কিভাবে প্রযুক্তি ও নৈতিক সাংবাদিকতা একত্রে মিলে একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনে অবদান রাখতে পারে।
জাম্বিয়া ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের মহাপরিচালক মি. বেরি লোয়ান্ডো বলেন, “আজকের মিডিয়াতে আমাদের ভূমিকা হলো বিরোধের মধ্যে সংলাপের সুযোগ তৈরি করা। শান্তিপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন সমাজে ভ্রাতৃত্ব ও সহনশীলতা গড়ে তুলতে পারে।”
মালাউইয়ের সংসদ সদস্য নোয়েল লিপিপাও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সাংস্কৃতিক বোঝাপড়ার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের নতুনভাবে চিন্তা করতে শেখায় এবং শান্তির পথে সবাইকে একত্রিত করে।”
HWPL-এর এই কর্মশালাটি শান্তি ঘোষণা ও যুদ্ধ বন্ধে (DPCW) তাদের দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রমের অংশ। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা একমত হন যে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা, নৈতিক মূল্যবোধ ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সহযোগিতাই ভবিষ্যতের শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের চাবিকাঠি।
প্রতিবেদন: বাংলাদেশ বার্তা। Bangladesh Barta