দেশ-বিদেশে আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের আলামত জনমত বলছে, “তারা ফিরবেই, অন্য রূপে”

দীর্ঘ রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা, নিষেধাজ্ঞা ও নৈতিক বিতর্কের পর আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আওয়ামী লীগ। দলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম এখনো শুরু না হলেও, জনতার কণ্ঠে আওয়ামী লীগকে ঘিরে প্রত্যাশার ঢেউ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে ব্যানার-প্ল্যাকার্ডসহ মিছিল, সভা-সমাবেশ, স্লোগানে মুখর রাজপথ।

শেখ হাসিনার নামে স্লোগানে গর্জে উঠছে রাজপথ

ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহীসহ দেশের বড় শহরগুলোতে হঠাৎ করেই দেখা যাচ্ছে—আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা ব্যানারে শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে রাজপথে নেমেছেন।
তাদের মুখে স্লোগান:“শেখ হাসিনা আসবে , বাংলাদেশ হাসবে”

#আওয়ামী_লীগ_প্রয়োজন হ্যাশট্যাগে ঝড় উঠেছে। অনেকে বলছেন—

“যাদের অপরাধ আছে, তাদের বিচার হোক, কিন্তু পুরো দলকে নিষিদ্ধ করে দিলে রাষ্ট্র কাঠামো আরও দুর্বল হয়।”

“আওয়ামী লীগ না থাকলে রাজনৈতিক ভারসাম্য ভেঙে পড়ে। তারা ফিরে আসুক, তবে নতুন চেহারায়।”

শুধু দেশে নয়, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসী আওয়ামী লীগের সমর্থকরা একযোগে মিছিল করেছেন।
লন্ডনের হাইড পার্কে আয়োজিত একটি সমাবেশে বলা হয়

“শেখ হাসিনা শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি বাংলাদেশের আত্মার প্রতীক। আওয়ামী লীগকে মুছে ফেলা যায় না।”

“আওয়ামী লীগ না থাকলে দেশ চলে না”  জনতার উপলব্ধি

রাজধানীর এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিস জানায়,

“ভুল-ত্রুটি থাকলেও আওয়ামী লীগ ছাড়া রাষ্ট্রের কাঠামো অস্থির হয়ে যায়। তারা না থাকলে অন্য দলগুলোও যেন দিশেহারা।”

অনেক বিশ্লেষকের মতে, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতি দেশের রাজনীতিতে একধরনের আদর্শগত শূন্যতা তৈরি করেছে। অনেকেই বলছেন, দলটি রাজনৈতিক পুনর্জন্মের দিকে এগোচ্ছে—তবে তা আগের মতো নয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মিজানুর রহমান মনে করেন,

“এই জাগরণ দীর্ঘস্থায়ী হলে দেশে নতুন করে রাজনৈতিক সমীকরণ গড়ে উঠতে পারে। আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা রাজনীতিতে স্থায়ীত্ব ফিরাতে পারে।”

সমাজবিজ্ঞানী ড. তামান্না আফরোজ বলেন—

“তারা ফিরবে—তবে আগের মতো নয়। নতুন নেতৃত্ব, উদার সংস্করণ ও কিছু আত্মসমালোচনার ভিত্তিতে তারা আবার মাঠে নামবে।”

সরকারের প্রতিক্রিয়া ও সতর্ক বার্তা

বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে,
“আওয়ামী লীগ যদি বিচার-বহির্ভূত কাজের দায় স্বীকার না করে, তবে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তাদের ফেরা সহজ হবে না। উসকানিমূলক মিছিল কঠোরভাবে দমন করা হবে।”

তবুও, সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারেও মিছিল হয়েছে। গোপন বৈঠকের খবরও রয়েছে, যেখানে নাকি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরির পরিকল্পনা করছেন।

রাজনীতির মঞ্চে কোনো দল হারিয়ে গেলে, সেই শূন্যতা শুধু ইতিহাসে নয়, জনমানসে দাগ ফেলে। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে সেটিই ঘটছে। তাদের সমর্থকরা বলছেন
“শেখ হাসিনা আসবে বাংলাদেশ হাসবে, আওয়ামী লীগের আদর্শের মৃত্যু হয়নি।”