বাংলার মাটি-মানুষ ও শিক্ষার্থী-জনতার রাজনৈতিক দল
ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব উন্নয়ন সংসদ এর উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ সিদ্দিক হোসাইন, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ক্রিমিনোলজি এসএমডি জিদান-সহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যৌথ উদ্যোগে ২৩ আগস্ট, ২০২৪ তারিখ গঠিত হয়েছে বাংলার মাটি-মানুষ ও শিক্ষার্থী-জনতার রাজনৈতিক দল “নিউক্লিয়াস পার্টি’ (Nucleus Party)।
সুশিক্ষা এবং কূটনৈতিক দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি বিনির্মাণের লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুপরিকল্পিতভাবে সংস্কার ও উন্নত করে বাংলাদেশের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলে বিশ্বায়নে টিকে থাকার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন সৎ বিচক্ষন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সুসংহত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অভাবে প্রকৃত জাতি সত্তা তৈরি করা অনবরত ব্যাহত হচ্ছে, যার কারণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আজও অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে; যা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্বায়নের যুগে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এ কারণেই দেশের অভ্যন্তরীণ জাতিগত ভেদাভেদ ভুলে ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৬ এর শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ছয় দফা, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণে রেখে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন ও সার্বিক উন্নয়ন সাধন করতে হবে বাংলার প্রতিটি মানুষের জন্য। আর এই অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যই বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাথে আমাদের যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধার সাথে কথা বলতে হবে। কারণ আপনি আমি সকলে মিলেই বাংলাদেশ। সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে ভালোবেসে নিজেদের সম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষা করে সঠিক উপায়ে বিচক্ষণতার সাথে কাজ করে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আনা সম্ভব। আর এ কারণেই বাংলাদেশে আমাদের কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী নই, বরং আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের সহযোগী, সহযোদ্ধা।
দুর্নীতি হলো জাতির উন্নয়নের অন্তরায়। দুর্নীতি প্রত্যেক জাতির উন্নয়নের পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই দুর্নীতি থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হলে, দেশের কোনো নাগরিককে দোষারোপ না করে দুর্নীতি নামক বৃক্ষটি সমূলে উৎখাত করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি চিরতরে মুছে দেওয়া সম্ভব। কারণ দুর্নীতি নামক বৃক্ষটি দেশের অভ্যন্তর থেকে বিলুপ্ত হলে দেশের কোনো নাগরিক দুর্নীতি করতে চাইলেও সে করতে পারবে না, পরিবেশ, সময় ও সুযোগের অভাবে। তাই প্রথমে আমাদেরকে দুর্নীতি সমূলে নির্মুল করতে হবে। এ কাজটি বাস্তবায়ন করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার, আমরা পারবো কারণ দুর্নীতি নির্মুল করা হবে আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়।
স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র পরিপুর্ণভাবে জনগনের হাতে রেখে এমনভাবে পরিচালনা করব, যাতে মানুষের সকল অধিকার বজায় থাকে এবং কোনো উপায়ে জনগণের অধিকার যেন ক্ষুন্ন না হয়, কারণ জনগণই হলো রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক।
তাই সঠিক ও সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের তিনটি শাখা পরিচালনা করে দেশের অভ্যন্তরীণ সকল ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করে আমরা জনগণের হাতে রাষ্ট্রের প্রকৃত ক্ষমতা অর্পণ করবো। যাতে করে দেশের প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রীয় প্রত্যক্ষ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। আর এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজন জনগণের জন্য জনগণের দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান। এ কারণে আমরা বিশ্ব শান্তি, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল গঠনে একমত হয়েছি। আমরা দলটিকে এমনভাবে গড়ে তুলার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি যে, এই দলটি জাতির বিবেক ও পাহারাদার হয়ে জনগণের দেশ জনগণের হাতে রেখে সকল আইন ও শাসন ব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে এবং অন্যদের সহযোগিতা করবে যাতে করে দেশ সর্বদা জনগণের হাতে থাকে ও সুষ্ঠুভাবে শাসিত হয়। নিউক্লিয়াস পার্টি হবে ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠার ধারক বাহক। এ কারণেই দলটির স্লোগান- জ্ঞান (Knowledge), সততা (Integrity), নেতৃত্ব (Leadership) এবং ট্যাগলাইন- স্বাধীন হতে স্বাধীন হও (Be Independent To Be Independent)।
মূলনীতি: বৈষম্যমুক্ত এবং নিরাপদ বসবাসযোগ্য রাষ্ট্র বিনির্মাণ। অর্থাৎ এমন একটি দেশ গড়ে তোলা হবে, যেখানে প্রতিটি মানুষ সমানভাবে জীবন যাপন করতে পারবে, থাকবে না কোনো বৈষম্য, থাকবে না কোনো আহাজারি, থাকবেনা কোনো জুলুম, অত্যাচার ও নিপীড়ন, থাকবে শুধু শান্তি, শৃঙ্খলা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা।
উল্লেখ্য, এ দলের কোনো ব্যক্তি দুবার এর বেশি রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।
সংক্ষেপে: নিউক্লিয়াস একটি বস্তুর বা দেহের সম্পূর্ণ কোষের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে, তাই একে বলা হয় কোষের মস্তিষ্ক। ঠিক অনুরূপভাবে, নিউক্লিয়াস পার্টি বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে একই ভাবে কাজ করবে। আমরা যদি বাংলার মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বুদ্ধ ইত্যাদি সম্প্রদায়কে এক একটি নিউক্লিয়াসের কোষ মনে করি; তাহলে নিউক্লিয়াসের নেতৃবৃন্দের অপরিহার্য দায়িত্ব হল প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সুতরাং নিউক্লিয়ার যেমন প্রতিটি কোষের সুরক্ষায় তার আদর্শ পরিবর্তন করে না। ঠিক তেমনি বাংলার মানুষের সুরক্ষার জন্য নিউক্লিয়াসের নেতৃবৃন্দ তাদের আদর্শে অটল থাকবে। অর্থাৎ নিউক্লিয়াস পার্টি বাংলাকে বৈষম্যমুক্ত এবং নিরাপদ বসবাসযোগ্য রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে দুর্নীতিসহ সকল ধরনের অনৈতিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করবে, তাই নিউক্লিয়াস পার্টিকে বাংলার মস্তিষ্ক বলা যেতে পারে।