“তরুণরাই পারে দেশ ও সমাজ বদলে দিতে” — এই মন্ত্রে বিশ্বাসী একদল উদ্যমী তরুণ ২০২০ সালে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করেছিল একটি স্বপ্ন নিয়ে। সেই স্বপ্ন আজ পরিণত হয়েছে এক মানবিক বিপ্লবে। দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন আজ বাংলাদেশের এক অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রতিটি কার্যক্রমে দেখা যায় ভালবাসা, দায়িত্ববোধ ও সচেতনতার প্রতিচ্ছবি।

—

নেতৃত্বের অনুপ্রেরণা: মুহাম্মদ আবু আবিদ

দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের প্রাণভোমরা হলেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ। একজন স্বপ্নবাজ তরুণ হিসেবে তিনি বিশ্বাস করেন, “মানবিক কাজ শুরু হয় মনের গভীর থেকে, শুধু সম্পদ নয়, ইচ্ছাশক্তিই পারে মানুষ ও সমাজকে বদলে দিতে।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় থেকেই তিনি মানবিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। তারই নেতৃত্বে গড়ে ওঠে এই ফাউন্ডেশন—একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তরুণরা নিজেদের সময় ও শ্রম সমাজের সেবায় উৎসর্গ করে।

২০২৩ সালে তিনি নেপালে “নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড” লাভ করেন, যা তার নেতৃত্বাধীন কার্যক্রমের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত।

—

মানবিক উদ্যোগ: সমাজের পাশে দাঁড়ানো এক প্রচেষ্টা

ফাউন্ডেশনটি ইতোমধ্যে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী মানবিক কর্মসূচির মাধ্যমে নজর কেড়েছে:

“সবাই দেখবে কক্সবাজার” প্রকল্প: এতে ২০০-এর বেশি এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে কক্সবাজার ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। তাদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়ার সকল খরচ ফাউন্ডেশন বহন করে, যা মানবিক সংগঠনের এক বিরল উদাহরণ।

ইফতার ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি: রমজানসহ বিশেষ সময়ে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে।

—

পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা: “আমরা মালী” প্রকল্প

দূর্বার তারুণ্য শুধুমাত্র মানবিক সহায়তায় সীমাবদ্ধ নয়, তারা পরিবেশ সংরক্ষণেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। “আমরা মালী” নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে তারা তরুণদের গাছ লাগানো, পরিচর্যা এবং পরিবেশবান্ধব জীবনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করছে। এ প্রকল্প ইতোমধ্যে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সাড়া ফেলেছে।

—

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

চেয়ারম্যান আবু আবিদের স্বপ্নের পরিধি এখন কেবল বাংলাদেশ নয়, বরং আন্তর্জাতিক স্তরেও মানবিকতাকে পৌঁছে দেওয়া। দূর্বার তারুণ্য শিগগিরই আরও বড় পরিসরে শিক্ষা সহায়তা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো খাতে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।

—

উপসংহার

দূর্বার তারুণ্য আজ শুধুই একটি সংগঠন নয়, এটি একটি আন্দোলন—যেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে তরুণ প্রজন্ম, হাতে তুলে নিচ্ছে সমাজ গঠনের ভার। মুহাম্মদ আবু আবিদের মতো নেতার হাত ধরে এই সংগঠন প্রমাণ করছে যে, যদি ইচ্ছা থাকে—তবে তরুণদের শক্তি দিয়েই বদলে দেওয়া যায় একটি সমাজ, একটি জাতি।

বিডিবার্তা/রাহাঅ