ঈদের পর থেকে বেশ কিছু মার্চেন্ট ফেসবুকে অভিযোগ করেছেন, SteadFast Courier-এর পার্সেল পিকআপ ও ডেলিভারি সেবা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। অভিযোগগুলোতে বলা হচ্ছে পিকআপে বিলম্ব, গ্রাহকসেবায় সময়মতো সাড়া না পাওয়া, যোগাযোগে বিঘ্ন এবং সবচেয়ে উদ্বেগজনকভাবে পণ্য চুরি হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা।
মার্চেন্টদের বক্তব্য (ফেসবুক থেকে সংগ্রহিত):-
Merchant Community নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে Zahid Hasan নামে একজন ক্ষুব্ধ মার্চেন্ট লিখেছেন:
“SteadFast Courier এ আজকে যাব, আপনাদেরকে আপডেট দিব ওরা কি সমাধান দেয়, আমার হালাল টাকার এক পয়সাও আমি ছাড় দিব না! এই গ্রুপে পোস্ট দেয়ার পর দেখলাম সমস্যা শুধু আমার না, হাজার হাজার মার্চেন্ট, যুবক উদ্যোক্তার!আমার টোটাল ৩টা পার্সেলের আইটেম চুরি হয়েছে:২৪,২০০ টাকা + ৩,৩৫০ টাকা + ৩৯,৫০০ টাকা।”
তিনি আরও জানান, ঈদের পর থেকেই স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের সার্ভিস বিপর্যস্ত, এবং অনেক মার্চেন্টের পার্সেল হারিয়ে যাচ্ছে বা ভাঙাচোরা অবস্থায় গ্রাহকের হাতে পৌঁছাচ্ছে।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।
Alhamdulillah Electronics নামের এক পেজ থেকে এই হৃদয়বিদারক মন্তব্য পোস্ট করেছেন- Steadfast এর জন্য কত শত উদ্যোক্তা ঝরে যাচ্ছে আহ.. দেখে অনেক বেশি খারাপ লাগছে”
প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উদ্যোক্তারা কুরিয়ার সার্ভিসের উপর নির্ভর করে পণ্য পাঠাচ্ছেন। কিন্তু সম্প্রতি Steadfast কুরিয়ার এর বিরুদ্ধে পণ্যের চুরি, বিলম্ব, অর্থ আত্মসাৎসহ একাধিক অভিযোগে ফুঁসে উঠেছেন অসংখ্য মার্চেন্ট।
এই দুটি মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে মার্চেন্টদের প্রধান অভিযোগগুলো হচ্ছে পিকআপ নির্ধারিত সময়ে না হওয়া এবং ডেলিভারিও না হওয়া ও সেবা অপেক্ষাকৃত নিচে নেমে যাওয়া।
ডেলিভারি বিলম্ব -সঠিক সময়ে পার্সেল পৌঁছে না, ফলে মার্চেন্টদের বিক্রী অভিজ্ঞতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।যোগাযোগ বিঘ্নিত কল বা মেসেজে সাড়া না পাওয়া, হটলাইনে অপেক্ষা করেও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া।
SteadFast কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ওদের অফিসিয়াল সাপোর্ট চ্যানেল বা ম্যানেজারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। অথবা ব্যবসা চালিয়ে যেতে ভিন্ন কুরিয়ার ব্যবহার অন্যান্য নির্ভরযোগ্য অপশন বিবেচনা করুন যেসব মার্চেন্ট একই ধরনের সমস্যায় পড়েছেন, তারা ফেসবুক গ্রুপ বা অন্য প্ল্যাটফর্মেসমবায় ভাবে অভিযোগ করলে সেগুলোর গুরুত্ব বাড়তে পারে।
ঈদের পর SteadFast Courier এর সার্ভিস কিছু মার্কেটের কাছে সমস্যাজনক হয়ে উঠেছে বিশেষ করে পার্সেল পিকআপ ও যোগাযোগ ঘাটতির কারণে। মার্চেন্টরা ফেসবুকে সরাসরি অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন, যা উদ্বেগজনক ও গুরুত্বপূর্ন। SteadFast কর্তৃপক্ষ আসলে দ্রুত প্রতিক্রিয়া না দিলে, ভিন্ন কুরিয়ারের দিকে ঝোঁক আরও বেড়ে যাবে।